কি দেখে নতুন মেবাইল কিনবেন? | Mobile Phone Buying Tips
কি দেখে মোবাইল কিনবেন? আপনার জন্য কোন মোবাইলটি বেস্ট হবে? বর্তমান সময়ে প্রতিদিন নতুন নতুন মোবাইল লঞ্চ হচ্ছে এবং প্রত্যেকটা ফোন একটা থেকে একটা আপডেটেড। যে একটা ফোন কিনে ফেলছেন ১৫-২০ দিন পর আমরা আফসোস করি যে, আহ কি করলাম এখন ফোন কিনলে ভালো হতো। এটা হলো মোবাইল কিনার জন্য সব থেকে কঠিন সময়।
আমাদের দেশে একটা কমন ধারণা আছে দামি মোবাইল মানে এটা দিয়ে ধুমাই গেম খেলা যাবে। আর কম দামি মোবাইল মানে ক্যামেরা মোটামুটি এটা একটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বর্তমান সময়ে দামি ফোন মানে আপনি সবকিছু পাবেন না। কারণ এখন বাজারে একটা সিঙ্গেল ফোন নায় যে, যেটা দিয়ে আপনি খুব ভালো গেমস খেলতে পারবেন এবং সাথে ক্যামেরার পারফরম্যান্স পাবেন।
সুতরাং আপনাকে বুঝতে হবে কোন মোবাইলটি আপনার জন্য প্রয়োজন। তাই আজকের ভিডিওটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি নিজে দেখবেন এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন, অন্তত মোবাইল কিনার আগে এই ভিডিওটি একবার হলেও দেখবেন। কারণ আমি দেখাবো কোন মোবাইলটা আপনার জন্য পারফেক্ট হবে কত দামে কেনা উচিত ইত্যাদি।
কি দেখে নতুন মেবাইল কিনবেন?
আপনারা পছন্দের জিনিস অনুযায়ী একটা লিস্ট বানাবেন যে, কোন কোন জিনিসগুলো আপনারা স্টেপ বাই স্টেপ দেখবেন। প্রথমে ক্যামেরা, নাকি ব্যাটারি, নাকি প্রসেসর, নাকি ডিসপ্লে, নাকি প্রথমেই ব্যাটারি এই সকল হিসেব করে একটি লিস্ট তৈরি করবেন। যদি আপনারা আমাকে প্রশ্ন করেন যে আমি কিভাবে হিসাব করবো বা লিস্ট করবো তাহলে আমার কাছে
Number 1 থাকবে একটা মোবাইলের পারফরম্যান্স। কারণ একটি মোবাইলের পারফরম্যান্স হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা নতুন মোবাইল হচ্ছে নতুন বউয়ের মতো। আপনার কাছে আপনার মোবাইলটি সবচাইতে ভালো মনে হবে বেস্ট মনে হবে, কিন্তু যতদিন যাবে আপনার মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ইনস্টল শুরু করবেন ভিডিও দেখা শুরু করবেন গেমস খেলা শুরু করবেন, তখন অনেক সময় ২/৩ মাস হয়ে গেলে মোবাইলগুলো হ্যাং করা শুরু করবে বা স্লো হয়ে যায়।
১/ প্রসেসর
২/ স্টোরেজ
৩/ Ram
এখন আপনি যদি কম দামের মধ্যে মোবাইল কিনেন তাহলে চেষ্টা করবেন কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এই প্রসেসরের মোবাইল গুলো কিনতে, কারণ এ লো প্রসেসের মোবাইল গুলো জন্য কোয়ালকমের প্রসেসর খুবই ভালো।
আমরা মনে করি যে মোবাইলে কোনরকম একটা স্টোরেজ থাকলে থাকলে হবে কিন্তু আসলে বিষয়টি তা না, আপনি কোন টাইপের স্টোরেজ কিনতেছেন এইগুলো দেখতে হবে। যদি ভালো একটি স্টোরেজ না থাকে তাহলে কিন্তু মোবাইলের ভালো পারফরম্যান্স পাবেন না। তাই আপনারা ছবিতে দেওয়া স্টোরেজের টাইপ গুলো দেখে নিন।
আমরা অনেকেই মনে করি যে মোবাইলে যত জিবি রেম থাকবে তত ভালো, কিন্তু আসলে বিষয়টা এমনা, তবে যত জিবি র্যাম তত ভালো তবে র্যামগুলো যদি কম পাওয়ারের হয়, তাহলে অনেক জিবি রেম দিয়েও কোন লাভ নেই। এক্সাম্পল হিসেবে আমরা যদি আইফোনের কথা চিন্তা করি, আমরা দেখব যে আইফোনের ভিতরে বেশি রেম থাকে না আপনারা কি এটা চিন্তা করছেন কেন আইফোনে বেশি ram থাকে না। কারণ একটাই আইফোনের রেমগুলো হয় পাওয়ার ফুল। আমি স্ক্রিনে একটা ছবি দিচ্ছি এই ছবি দেখে আপনারা দেখে নিন কোন রেমের স্পিড কত। আপনাকে র্যামের এই টাইপটা বুঝতে হবে।
এখন আমরা দেখবো ক্যামেরা। বর্তমান সময়ের মোবাইল গুলোতে দেখবেন তিনটা চারটা পাঁচটা ক্যামেরা। আমি আপনাদেরকে একটা রিকোয়েস্ট করব আপনারা কখনোই ৪টা পাঁচটা ক্যামেরা দেখে মোবাইল কিনবেন না। ক্যামেরার জন্য সবচেয়ে বড় জিনিস হল সেন্সর। জি ক্যামেরার সেন্সর যত বড় এবং ভালো ব্র্যান্ড থাকবে, সেই ক্যামেরার পারফরম্যান্স তত বেশী ভালো পাবেন।
এখানে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে মোবাইল কোম্পানিগুলো এই তথ্য গোপন রাখে, যেই মোবাইল কোম্পানি ভালো ব্র্যান্ডের সেন্সর যারা ব্যবহার করে তারা এই বিষয় গুলো উল্লেখ করে। এখন আপনারা ক্যামরার এই বিষয়টি ক্লিয়ার করার জন্য ইউটিউব চ্যানেল আছে বা ওয়েবসাইট আছে, এই গুলোতে ছবির তুলনা গুলো দেখবেন কোনটা ভালো কোনটা খারাপ।
এখানে এখানে আপনাদেরকে একটা বোনাস টিপস দি। আপনারা কখনোই মোবাইলে এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করবেন না। কারণ একটা রিসার্চের দেখা গেছে যে, এক্সটার্নাল মেমোরি ব্যবহার করার কারণে মোবাইলের পারফরম্যান্স থেকে ২০-৩০% কমে যায়।
তাই আপনার লক্ষ্য করবেন যে i phone গুলোতে এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড লাগানোর কোন অপশন থাকে না।
তাই সর্বশেষ একটা বিষয় আপনাদেরকে বলতে চাই, আপনারা যখন একটি মোবাইল কিনবেন তখন ভালোভাবে দেখে শুনে কিনবেন। এটলিস্ট যেন ঐ মোবাইলটি দুই বছর ব্যবহার করা যায়। এত টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে যদি দুই বছর ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে কি লাভ বলেন?
আজকের মত ভিডিওটি পর্যন্ত, যদি মোবাইল নিয়ে আরও নতুন তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।